• সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম মহানগরীর ২নং গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি বাগেরহাটে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রায় হাজারো ভক্তদের ঢল বাউফলে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ মান্দায় ভ্যানচালকদের মাঝে রেইনকোট বিতরণ বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক ১৫ কর্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত আদমদীঘিতে হত্যার উদ্দেম্যে মারপিট ও শ্লীলতাহানি মামলায় গ্রেফতার-১ র‌্যাবের অভিযানে ২ হাজার ২৩৫ পিস নেশার ইনজেকশানসহ তিনজন গ্রেফতার আদমদীঘিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে পশু-পাখি নিয়ে নিদারুন কষ্টে বানভাসিরা সুন্দরগঞ্জে টানা বর্ষণে ৪১৯ কি.মি. কাঁচা রাস্তার বেহালদশা

বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রস্তুত ৬ প্রার্থী

দিনকাল বিডি ২৪ / ২২৬ Time View
প্রকাশঃ বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

শেখ আরিফ,নারায়ণগঞ্জ-বন্দর:
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শীর্ষক এক ওয়ার্কিং মিটিংয়ে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার পর নড়ে চড়ে বসেছেন বন্দর উপজেলা ক্ষামতাশীণ দলের নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরী বৈঠকে দলীয় প্রতিক থাকছেনা এমন সংবাদে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাও নিজের অবস্থান জানান দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন। একদিকে দলীয়ভাবে প্রতিক দিচ্ছে না ক্ষমতাশীন দল আ’লীগ। অন্যদিকে স্বতন্ত্রভাবে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন অনেকেই।

এদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ছাড়াও রয়েছেন বন্দর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান,উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি ও মদনপুর ইউনিয়নের ৩বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম,মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান ও অপরদিকে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।

তথ্যসুত্রে জানা গেছে,বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকালীন সময়ে অনেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন। ক্ষমতাশীন দলের অনেক শক্তিশালী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতিও ছিল তবে শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের এক সমঝোতায় উপজেলা আ্’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদকে বিনাভোটে চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।

এবার দলীয় প্রতিক না থাকায় ক্ষমতাশীন দল আ’লীগ,জাতীয়পার্টি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাও যার যার অবস্থান থেকে মাঠে নেমে পড়েছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন। আবার অনেকে ব্যানার ফেষ্টুনে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রচার প্রচারনা করে সয়লাভ করছেন। নিজের জনপ্রিয়তা জানান দিতে কেউ কেউ প্রতিটি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

এদিকে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তথা বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল তার ভেরীফাই ফেসবুক পেইজে উপজেলা নির্বাচনে কর্মীদেও প্রস্তুত থাকার ইঙ্গিত করেছিলেন। পরক্ষনেই তার কর্মীরা ফেসবুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তার ফেষ্টুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে। তবে এদের মধ্যে প্রচার প্রচারনায় আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি ও মদনপুর ইউনিয়নের ৩বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান।

এ ব্যাপারে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী আব্দুস সালাম বলেন, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আমি ছিলাম,আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি ২০১৪ সালের নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলাম। নির্বাচনেও অংশ গ্রহন করেছি। হারজিৎ নিয়েই নির্বাচন। সে নির্বাচনে আমি তৃত্বীয় হয়েছিলাম। পরবর্তী ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে প্রস্তুত ছিলাম। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু পাই নাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিলাম।

তবে তখনকার সময়টার অনুকুলে ছিল না। একটি সমঝোতার মাধ্যমে শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পরামর্শে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এবারও আমি শতভাগ আশাবাদী যদি দল থেকে মনোনীত করে তাহলে হয়তো আমি মনোনীত হতে পারি । আমি আশাবাদী এবং মাঠে আছি। এরই মধ্যে আমার সমর্থকরা প্রচার প্রচারণা চালাইতেছে। আমার নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার ফেস্টুনে নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এবারের নির্বাচন দলীয়ভাবে উম্মুক্ত করে দিলেও (কোন দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দিলে) আমি আশাবাদী। তবে সম্ভাবনা থাকবে জনগণের হাতে। তবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।

বন্দর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেন,আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী একজন আ’লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে বন্দর উপজেলা আ’লীগের (সাধারন সম্পাদক) গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করছি। দলীয় সমর্থন পেলে নির্বাচন করব ইনশাআল্লাহ।

অপরদিকে বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বলেন, আমার তো ইচ্ছা আছেই। আমার ইচ্ছা আছে বলেই কর্মীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। ইউনিয়নের অন্যান্য চেয়ারম্যানরা দাঁড়ালেও আমারওতো ইচ্ছা জাগে। যেহেতু এবারের নির্বাচনটা ওপেন করে ফেলা হয়েছে, দলীয় প্রতীক থাকলেও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করার জন্য একটি অপশন তো থাকবে (দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মতো)উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না করার সিদ্ধান্ত।

সকলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা হওয়াতে আসলে ভাল হয়েছে। দলীয় প্রতীক থাকলে দেখা যায় অনেক সময়ই প্রভাব খাটানোর একটি বিষয় চলে আসে। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে তাদের নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেদিক থেকে এই সিদ্ধান্তটা ভালো হয়েছে। এতে করে যার যার জনপ্রিয়তা যাচাই হবে।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান বলেন,আমি ৩বার জনগনের ভোটে আমার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। বিগত সময়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলাম। ২য় হয়েছিলাম। এবার যেহেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। দলীয় কোন প্রতিকও যেহেতু থাকছেনা। আমার দলীয় বুরুব্বিদের(ওসমান পরিবার) সাথে কথা বলি। দেখা যাক কি হয়।

এদিকে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category