• সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম মহানগরীর ২নং গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি বাগেরহাটে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রায় হাজারো ভক্তদের ঢল বাউফলে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ মান্দায় ভ্যানচালকদের মাঝে রেইনকোট বিতরণ বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক ১৫ কর্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত আদমদীঘিতে হত্যার উদ্দেম্যে মারপিট ও শ্লীলতাহানি মামলায় গ্রেফতার-১ র‌্যাবের অভিযানে ২ হাজার ২৩৫ পিস নেশার ইনজেকশানসহ তিনজন গ্রেফতার আদমদীঘিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে পশু-পাখি নিয়ে নিদারুন কষ্টে বানভাসিরা সুন্দরগঞ্জে টানা বর্ষণে ৪১৯ কি.মি. কাঁচা রাস্তার বেহালদশা

মহানগরীর বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন ও রাণীনগর নৈশ্য উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় মেয়াদে পূর্বের সভাপতি

দিনকাল বিডি ২৪ / ২৩ Time View
প্রকাশঃ মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪

রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগরীর বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন ও রাণীনগর নৈশ্য উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলে একতরফা ও অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন স্কুলটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও অদক্ষ ও অযোগ্য কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অজ্ঞাত খুটির জোরে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অবৈধ পন্থায় কমিটির সভাপতি মোঃ শামসুদ্দীন রয়েছেন বহাল তবিয়্যতে। এ নিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পথে, চায়ের দোকানে ও বিভিন্ন স্থানে এ নিয়ে আলোচনা ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

একাধীক স্থানীয়রা জানান, স্কুলটিতে ৭সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত নানা অনিয়মে জর্জারিত করেছেন কমিটির সভাপতি মোঃ শামসুদ্দীন। যেমন, স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়না, বার্ষিক ক্রীড়া নেই, এছাড়াও এলাকার বির্তর্কীত ব্যক্তি আব্দুল হান্নান বর্তমান স্কুল কমিটির সদস্য। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরও সেই কমিটিতে সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের একজন কর্মচারী জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোকলেসুর রহমান হিরু (ক্রিড়া শিক্ষক), তাকে ভারপ্রাপ্ত থেকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার বসানোর লক্ষ্যেই স্কুলে একটি নিয়োগ ছাড়া হয়েছে। সেখানে অন্যান্য পদের নিয়োগও উল্লেখ্য রয়েছে। তবে এই নিয়োগ স্থগিতের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্কুলে পূর্বের ভাবমূর্তী ও সঠিক পাঠদান ফেরাতে বর্তমান কমিটি বিলুপ্তির কোন বিকল্প নাই। আর তাই এই নিয়োগ স্থগিত এবং বর্তমান কমিটি বিলুপ্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

বিগত দিনে স্কুল কমিটি শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব নুরুল হুনা ২০/০১/৮৫ ইং প্রফেসর মোঃ মারশেদ আলী (সহযোগী অধ্যাপক) ৩০/৮/১৯৯৪ ইং থেকে ২৬/৮/১৯৯৭ মোঃ আঃ সবুর অতিরিক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) ২৭/৮/১৯৯৭ প্রভাত কুমার দাস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। ৭/৯/২০০ইং থেকে ১১/৬/২০০০ ইং। কমলেপ কুমার দাস (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা) মোঃ কুরবান আলী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও উন্নয়ন)১৭/৬/২০০৩ ইং থেকে ৫/৪/২০০৪ ইং। এসে এমন জাহিদুল করিম (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) ৬/৪/২০০৪ থেকে ৯/১০/২০০৬ ইং সত্যেন্দ্র কুমার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (১০/১০/২০০৬ থেকে ২/৮/২০০৯ ইং পর্যন্ত কার্যদিবস পর্যন্ত কিন্তু ওই স্কুলের নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই অদৃশ্য শক্তির বলে একটানা ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি ২০২৪ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ একটানা ১৫ বছর সভাপতির দায়িত্বে বহাল আছেন মোঃ শামসুদ্দীন।

সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ারুল আমীন আজব-সহ বিতর্কীত কিছু ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক তরফা কমিটি গঠন করে স্কুল সংস্কারে নামে লুটপাট ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বাঘা-চারঘাটের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয় বলে একাধীক সূত্রে জানা গেছে। স্কুলের শিক্ষার মান ও পাশের হার ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। প্রভাবশালী কমিটির বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়না বলেও জানা যায়। এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, অত্র স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোকলেসুর রহমান হিরু জানান, স্কুলে কোন অনিয়ম ও দূর্ণীতি হয় না।

এ ব্যপারে অত্র স্কুল কমিটির সভাপতি, মোঃ শামসুদ্দীনের মুঠো ফোনে একাধীক বার দেয়া হয়। তবে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক মোঃ জিয়াউল হক জানান, বিধি অনুয়ায়ী একজন সভাপতি দুই মেয়াদের বেশি সভাপতি পদে থাকতে পারেনা। তবে ওই স্কুলের সভাপতির ১৫বছর মেয়াদকাল চলছে বিষয়টি আমার জানা নেই। শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান স্যার বরাবর একটি দরখাস্ত দিলে আমার উপর তদন্তভার আসবে। তখন বিষয়টি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

একই অবস্থা রাণীনগর নৈশ্য উচ্চ বিদ্যালয়ের। স্কুলটিতে বিতর্কীত সভাপতি মোঃ আব্দুল করিম। তিনি বিগত দিনে পরপর দুইবার স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছে। এরপর ২৩ সাথে এ্যাডহক কমিটির সভপতি হিসেবে ৬মাস দায়িত্ব পালন করেন। ফের নিময় নিতির তোয়াক্কা না করে রাতে আধারে ৬/৯ করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এভাবে আরও যতগুলি স্কুলে ৬/৯ হয়েছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে স্কুল গুলির পাঠদানে বেহাল দশা এবং স্কুল গুলিতে কাঙ্খিত ছাত্র-ছাত্রীও নাই।
এদিকে, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য পদে কোন ব্যক্তি পর পর দুইবারের বেশি থাকতে পারবে না বলে অভিমত দিয়েছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডকে বলেছে আদালত।

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা সংক্রান্ত রিট খারিজ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই অভিমত দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা ২০০৯ এর কোথাও সভাপতি বা সদস্য কতবার হতে পারবেন সে বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই। এ বিষয়টি নজরে আসার পর হাইকোর্ট কোন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য হিসেবে কোন ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি হতে পারবে না বলে অভিমত দিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category