নওগাঁ জেলার মান্দা থানা এলাকা হতে অপহরণ মামলার ভিকটিম উদ্ধার
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায়
নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী,
সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারীসহ
ধর্ষণ ও অপহরণের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।প্রেস রিলিজ
২। উল্লেখ্য যে, ভিকটিম বকশিগঞ্জ থানাধীন গলাকাাটি পাবলিক কেজি স্কুলে ৮ম
শ্রেনীর ছাত্রী। উক্ত বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় আসামী রায়হান (২২)
ভিকটিমকে স্কুলে যাতায়াতের পথে বিবাহের প্রলোভন দিয়া ফুসলাইতে থাকে। আমার
মেয়ে বিষয়টি আমাকে জানাইলে আমি আসামী মোঃ শাহজালাল (৩৫) পিতাঃ নছম
উদ্দিন, নছম উদ্দিন(৫২) পিতাঃ মৃত আমেজ উদ্দিন এবং মদিনা বেগম (২৮) স্বামী মোঃ
শাহজালাল’কে বিচার দেই। কিন্তু তারা আসামীকে শাসন না করে আরো উসকাইয়া
দেয়। এতে করে আসামী রায়হান (২২) আরো সুযোগ পেয়ে আমার মেয়ের ক্ষতি করার
জন্য সুযোগ খুজতে থাকে। ঘটনার তারিখ ও সময় আমার নাবালিকা মেয়ে আসামী
রায়হান এর মা এবং আসামী মোঃ শাহজালাল এর সাথে প্রকৃতির ডাকে ঘরের
বাহিরে টিউবওয়েল পাড়ে যায়। আমার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০) ২ নং স্বাক্ষী টর্চ
লাইট হাতে নিয়া একটু দুরে দাড়ায়ে থাকে। এই সুযোগে আসামীগন আমার
মেয়েকে পেয়ে তাহার মুখে গামছা দিয়া পেচায় ধরে। আমার মেয়ে ডাক চিৎকার
করার চেষ্টা করলে তাহাকে পাজা করে ধরে শূন্যের উপরে উঠাইয়া বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বের
রাস্তা নিয়া যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী দৌড়ায়ে ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখে
আসামীগন আমার মেয়েকে রাস্তায় দাড়ানো অপ্সাতনামা সিএনজি গাড়ীতে করে
আসামী রায়হান (২২) অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়া যায়। অতপর ভিকটিম বাড়িতে
ফিরে না আসলে ভিকটিমের পিতাসহ পরিবারের সদস্যগণ সম্ভব্য সকল স্থানে
খোঁজাখুঁজি করে কোথাও সন্ধান না পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে জামালপুর জেলার
বকশীগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে।
৩। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামী রায়হান (২২) সহ অন্যান্য
এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতার এবং মামলার ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৫
বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন।
৪। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি চৌকষ
আভিযানিক দল উক্ত মামলার আসামীদের সনাক্তকরনসহ অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারের জন্য
গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫,
রাজশাহী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের ও অপহৃত ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করতে
সক্ষম হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি
অপারেশন দল ইং ২৪ জুন ২০২৫ তারিখ ১৭.২০ হতে ১৭.৫০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান
পরিচালনা করে নওগাঁ জেলার মান্দা থানাধীন নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের চকউমেদ গ্রাম
ও:॥এজাহার -২০২৫.ফড়প
হতে; জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-০৮/০১/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-০৩) এর ৭/৩০, (বকশিগঞ্জ) এর
অপহরণ চক্রের হেফাজত হতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
৫। উপরোক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানায়
হস্তান্তর করা হয়েছে।